শরীরকে নিজের বশে বা আয়ত্তেে আনার অসাধারণ কয়েকটি কৌশলঃযে কৌশল বা
হ্যাক জানার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরকে বশ করতে সক্ষম হবেন।
প্রথম হ্যাকঃ হেঁচকা বা হেঁচকি যখন আসে বা উঠে তখন আপনি কি করেন।দেখা যায় অনেক সময় আমরা কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকি তখন হেঁচকি উঠে যায়।যা চাইলেই থামানো যায় না।বিষয়টা তখন খুবই বিরক্তিকর মনে হয়।
তখন হয়তো আপনি অনেক চেষ্টা করেন হেঁচকি থামাতে কিন্তু পারেন না।
তাহলে জেনে নিন সবচেয়ে শ্রেষ্ঠতম একটি উপায় যা ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি সহজেই হেঁচকি থামাতে পারেন।
যখনই হেঁচকি আসবে তখন জোরে একটি শ্বাস নিন এবং যতক্ষণ পারেন শ্বাসটি ধরে রাখুন।তারপর ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন।এভাবে চার-পাঁচবার শ্বাস ইনহেল এক্সেল করুন দেখবেন হেঁচকি থেমে গেছে।বিষয়টি দারুণ না!
দ্বিতীয় হ্যাকঃ আপনি কতক্ষণ নিজের শ্বাসপ্রশ্বাস আটকে রাখতে সক্ষম হবেন?
হয়তো আপনি বলবেন এক মিনিট বা ত্রিশ সেকেন্ড।এই এক মিনিট শ্বাস বন্ধ করে রাখলেই মনে হয় প্রাণ যায় যায় অবস্থা।একদম দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূত হয়।
কিন্তু এমন একটি বডি হ্যাকস কৌশল রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি অনেকক্ষণ শ্বাস আটকে রাখতে সক্ষম হবেন।
ধরুন আপনি এখন ত্রিশ সেকেন্ড শ্বাসবন্ধ করে রাখতে পারেন বা এক মিনিট।কিন্তু যখনই এই কৌশল অবলম্বন করবেন তখন আরো বেশি সময় শ্বাস আটকে রাখতে পারবেন।
তার জন্য আপনাকে যা করতে হবে তাহলো শ্বাস বন্ধ করার আগে দ্রুত কয়েকবার শ্বাস নিন।ঘনঘন পাঁচ থেকে ছয়বার শ্বাস নিয়ে দম বন্ধ করুন দেখবেন আপনি অনেক সময় শ্বাস আটকে রাখতে সক্ষম হবেন।
তৃতীয় হ্যাকঃ ইঞ্জেকশন নেওয়ার সময় অনেকলোক ভয় পায়।অনেকে হয়তো সেই ইঞ্জেকশনের ব্যথার ভয়ে চিৎকার দিয়ে থাকেন।
কিন্তু আপনি কি জানেন এমন একটি কৌশল রয়েছে যা অবলম্বন করার মধ্যদিয়ে আপনি আর ইঞ্জেকশন নেওয়ার সময় ভয়তো দূরে থাক ব্যথাই অনুভব করবেন না।
এই অসাধারণ বডি হ্যাক কৌশলটি জানতে হয়তো আপনি উন্মুখ হয়ে আছেন।তাই না!
চলুন জেনে নেওয়া যাক হ্যাকসটি:যখনই আপনি ইঞ্জেকশনটি নিতে যাবেন বা ডাক্টার ইঞ্জেকশন দিবে তখন আপনি অতি জোরে নয় বরং হালকা করে কাশি দিন।ভাবতে পারেন ইঞ্জেকশন নেওয়ার পূর্বে কাশবেন কেনো?বা এমনটা করলে কি হবে?
মূলত ধীরে কাশার ফলে মানব বডি কিছু সময়ের জন্য কোনো ব্যথা অনুভব করতে বা সেন্স করতে সক্ষম হয় না।তাই এই কয়েক সেকেন্ড আপনার শরীর স্তব্ধ হয়ে যায়।ঠিক তখনই ইঞ্জেকশন নিয়ে ফেলুন।আপনি বুঝবেনই না কিছুই।
চতুর্থ হ্যাকঃএটা এমন একটা হ্যাকস যা সবার জন্যই প্রযোজ্য।আপনি রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমাতে গেলেন কিন্তু বিছানার এপাশ ওপাশ করতে করতে কিছুতেই ঘুম আসছে না।উফ ঘুমানোর সময় ঘুম না আসলে কি যে বিরক্তিকর বা যন্ত্রণার তা কেবল তারাই বুঝেন যারা রাতে ঘুমাতে গেলেই ঘুমাতে পারেন না।
কিন্তু আপনি কি জানেন এমন একটা কৌশল রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সহজেই ঘুমিয়ে যেতে পারবেন?
আপনার ঘুম যদি না আসে তবে তখনই খুব দ্রুত গতিতে চোখের পলক নাড়তে থাকুন।তিন থেকে চার মিনিট চোখের পাতা খুলন আর বন্ধ করুন তাতে করে আপনার মস্তিষ্কে অহেতুক যে চিন্তা ভাবনা আছে যা আপনাকে ঘুমাতে বা ঘুম আসতে ব্যঘাত ঘটাচ্ছে তা বন্ধ হয়ে যাবে।আর যখনই আপনার অপ্রয়োজনীয় ভাবনাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে তখনই আপনার ঘুম সহজেই লেগে যাবে।
পঞ্চম হ্যাকঃ এই বডি হ্যাকসটা জানার মাধ্যমে আপনি আপনার মনকে কন্ট্রোল করার পদ্ধতি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কৌশল অবলম্বন জেনে নিবেন।
সাধারণত আনরা এক মিনিটে ১৪-১৫ বার শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে থাকি।কিন্তু আপনি যদি প্রতি মিনিটে চার-পাঁচবার শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারেন দেখবেন আপনার মনে অস্থিরতা বা চাঞ্চল্যতা থাকলে তা দূর হয়ে যাবে।সাথে আপনি আত্মবিশ্বাস হীনতয়া ভুগে থাকলে দেখবেন আপনার আত্মবিশ্বাসও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।
কৌশলটি চার পাঁচ মিনিট করেই দেখ নিতে পারেন ফলাফল।
ষষ্ঠ হ্যাকঃএটি অন্যতম একটি মজাদার হ্যাকস।গালাগালি করে না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম।সব লোকই কিছু না কিছু গালাগালি দিয়ে থাকে।
কিন্তু আপনি কি জানেন গালি দিলে মানুষ কোনো ব্যথা অনুভব করার ক্ষমতা কিছুটা কমে যায়?বিষয়টি শুনে হয়তো আপনি হাসতে পারেন।
কিন্তু বিষয়টা একদমই সত্য।গালাগালি করার মাধ্যমে ব্যক্তির ব্যথা সয্যকরার ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায়।আর এই কথাটি বিজ্ঞানদ্বারা প্রমাণিত।
একটি উদাহরণ দেই আপনি আরো সহজে বুঝতে সক্ষম হবেন যে গালি দিলে কিভাবে ব্যথা উপশম হয়?ধরুন আপনি পায়ে বা কোথাও চোট পেয়েছেন।তখন দেখবেন আপনি না চাইলেও আপনার মুখ দিয়ে কোনো ধরনের গালি বেরিয়ে আসে।ফলে তাৎক্ষণিক ঐ চোটের ব্যথাটা অনুভব হয় না।
