করোনার ঠিকা নেওয়ার পূর্বে যেসকল বিষয় জেনে নেওয়া দরকার: Before taking Corona vaccine you should to know

করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯ এর ঠিকা নেওয়ার আগে যেসব বিষয় জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:


অদৃশ্য ভাইরাস করোনার ভয়াল থাবাতে বিশ্ব স্থবির ও স্তম্ভিত।মহামারি কবলে আটকা পড়েছে গোঠা বিশ্ব।বিপন্ন হচ্ছে সাধারণ জনজীবন।


অদৃশ্য এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে মেনে চলতে হচ্ছে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি ও সচেতনতা।তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই প্রদান করা হচ্ছে করোনার ঠিকা।তাই আপনি যে কোনো দেশের নাগরিকই হোন না কেনো করবোনা ঠিকা নেওয়ার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া আবশ্যক।

করোনার ঠিকা নেওয়ার পূর্বে যেসকল বিষয় জেনে নেওয়া দরকার: Before taking Corona vaccine you should to know
ভ্যাক্সিন

করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯ এর ঠিকার সাথে আমরা একদমই নতুন।এই ঠিকাটা আগে কেউ কখনো চিনিনি বা দেয়ইও নি।তাই এই ঠিকা নেওয়ার আগে যেসব বিষয় জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:


যেকোনো প্রকার ঠিকা তৈরির আগে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় তাহলো নিরাপত্তার দিক।কাজেই করোনার ঠিকা তৈরী করার আগে তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই ঠিকা প্রয়োগের আদেশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।


ঠিকা নেওয়া থেকে যারা বিরত থাকবেন:


  • ব্যক্তি ঠিকা নেওয়ার পূর্বে যদি কোনো প্রকার সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে তা অবশ্যই চিকিৎসককে জানাবেন।

  • আগ থেকেই যদি শরীরে কোনো ধরনের অ্যালার্জি থাকে তা চিকিৎসককে জানিয়ে পরে ঠিকা নিন।

  • প্রচন্ড জ্বর ও মাথাব্যথা থাকলে ঠিকা নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।সুস্থ হলে পরে নিন।

  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঠিকা দিবেন।

  • গর্ভবতী বা এমন কেউ যার দুগ্ধপোষ্য শিশু আছে তিনি ঠিকা নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

  • রক্তপাত বা রক্তশূন্যতা সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় ভুগতে থাকলে তাৎক্ষণিক ঠিকা নিবেন না।


তুবুও ঠিকা দিতে চাইলে আপনার পূর্ব জটিলতা থেকে থাকলে চিকিৎসককে তা জানাবেন।তারপর চিকিৎসকই সিদ্ধান্ত নিবেন যে ঠিকা দেওয়া যাবে কি না।


এছাড়া কেউ এজমা বা অ্যালার্জি বা হাঁপানি জাতীয় কোনো রোগে ভুগে থাকলে সরাসরি ঠিকা না দেওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিও কি ঠিকা দিতে হবে?


আমরা অনেকেই ধারণা এমন যে কেউ একবার করোনায় আক্রন্ত হয়ে সুস্থ হয়ে গেলে সে বোধহয় আর করোনায় আক্রন্ত হবে না।কিন্তু ধারণাটি ভ্রান্ত।


যেহেতু করোনায় আক্রন্ত হলে এন্টিবডি দীর্ঘস্থায়ী হয় না তাই পূর্বে আক্রান্ত হয়ে থাকলেও ঠিকা নেওয়াটা নিরাপদ বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।


করোনার ঠিকায় কি পার্শ প্রতিক্রিয়া আছে?

সব ভেষজেরই পার্শ প্রতিক্রিয়া থেকে থাকে।আমরা কোনো প্রকার ঔষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই তার পার্শ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হই।অনুরূপভাবে কভিড-১৯ এর ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রেও কিছুটা পার্শ প্রতিক্রিয়া রয়েছে।


  • ফাইজার,মর্ডানা ও অক্সফোর্ড ঠিকার ক্ষেত্রে যেসব পার্শ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তা প্রায় একই বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিশ্লেষকরা।

  • এসব প্রতিক্রিয়া প্রতি দশ জনের একজনের মধ্যে দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন তারা।


পার্শ প্রতিক্রিয়াগুলো যেমন হতে পারেঃ

ঠিকা নেওয়ার স্থান হালকা ফুলে যাওয়া বা লাল হয়ে যাওয়া,অল্প পরিমাণ ব্যথার সৃষ্টি হওয়া,জ্বর উঠা,শীতল অনুভূতি,ক্লান্তিবোধ ও মাংসপেশিতে টান অনুভূত হওয়ার মতো কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।তবে এগুলো হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।আপনা আপনিই ঠিক হয়ে যাবে।


ঠিকা নিলে সাস্থবিধি মানতে হবে কি না?

একটা বিষয় মনে রাখা দরকার যে কোনো ঠিকই আপনাকে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না।বিশেষজ্ঞরাও এটাও জানান যে একটি ঠিকা কতো দিন বা কতো সময়ের জন্য নিরাপদ তার কোনো নিশ্চিতা নেই।কেনোনা কোনো ঠিকাই শতভাগ নিরাপদ নয়।তাই ঠিকা দিলেও অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কোনো বিকল্প নেই।


আরও পড়ুন


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.