একটি অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প:আবেগী ভালোবাসার গল্প

একটি অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প :  

ভালোবাসা কাকে বলে তা আমি জানিনা।প্রেম ভালোবাসা বলতে আমি বুঝি এমন এক নিষিদ্ধ বাঁধন যা সমাজ মেনে নিতে চায়না সহজে!


তবে আমার দেখা সবচেয়ে দারুণ প্রেম ছিল বড় আপার আর আনান ভাইয়ের।এতো স্নিগ্ধ ছিল তাঁদের ভালোবাসার ধরনটা যে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ভালোবাসতে হলে কাউকে এভাবেই ভালোবাসবো।


আমি তানহা,তিন বোনের মধ্যে আমি মেঝো।আমার বড় আপা পিহু,ছোট বোন দোলা।মা বাবার অতি আদরের তিন রাজকন্যা।আত্মীয়স্বজন বা পরিচিত কেউ তিন মেয়ে শুনলে যখন বলে "আহা একটা ছেলে হলে ভালো হতো!",তখন বাবা বুক ফুলিয়ে বলে আমার তিন মেয়েই আমার কাছে ছেলে সমতুল্য।ওরাই আমার বংশের প্রদীপ হবে।


এ নিয়ে কেউ কেউ টিপ্পনী কাটলেও বাবা সেসব গায়ে মাখেন না।মা মাঝেমধ্যে ছেলের জন্য খুব আফসোস করে বলেন,মেয়ে তিনটার বিয়ে হয়ে গেলে বুড়োবুড়িকে কে দেখবে?আমি হিরোর মতো ভাব নিয়ে বলি,মে হু না?

এই হলো আমার ছোট্ট সুখী পরিবার।

আজকের গল্পটা হবে আমার বড় আপাকে নিয়ে।


আমার বড় আপা খুব শান্তশিষ্ট ধরনের মিষ্টি মেয়ে।

কোনো মানুষের মনে এমন সাগরসম ভালোবাসা থাকতে পারে আপাকে না দেখলে আমি জানতাম না।তখন আমি সবে মাধ্যমিকে উঠেছি,আপা তখন কলেজে পড়ে।সে কি সুন্দর করে শাড়ি পড়ে তাঁর কোমড় অবধি লম্বা চুলে বেনুনী করে কলেজ যেতো।


আমি সবসময় আপাকে ফলো করতাম।সে যা করতো তাই করতে চাইতাম।আপা যখন তাঁর দীঘল চুল ছেড়ে বৃষ্টিতে ভিজতো আমিও তাঁর সঙ্গ নিতাম।প্রায়ই লুকিয়ে আপার ডায়েরি পড়তাম।যা সুন্দর সুন্দর কথা লিখে রাখতো!মোট কথা আপার সবকিছুই আমার খুব পছন্দের ছিল তাঁর হাসি,কথা বলার ধরন।


কবিতা আবৃত্তি করতে করতে আপা কখনো কখনো বিদ্রোহী হয়ে উঠতো কখনো বা কোমলমতি মাধবীলতা!মায়ের পর আপাই আমাদের সবচেয়ে বেশি স্নেহ করতো।আমার মনে হতো আপার গায়েও মা মা গন্ধ আছে।


আনান ভাই আমাদের পাশের পাড়ার ছেলে।আপাকে অনেক আগে থেকেই পছন্দ করতো।কিন্তু সামনে এসে বলার সাহস করতো না।আমাদের দখিনা জানালা যেদিকটায় আপার পড়ার টেবিল ছিলো।সে সেদিকের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতো সবসময়।আমি ভাবতাম আপার বুঝি আনান ভাইকে পছন্দ না।তাই আমি সেসব দেখে একদিন তাঁর সাথে ঝগড়া বাঁধিয়েছি।আমার বোনকে বিরক্ত করা এতো বড় সাহস?আপার ভাই নেইতো কি হয়েছে আমি আছি না!


সেদিন আনান ভাই হেসে বললো,পিহু ঠিকই বলে তুমি ওর বোন না ভাই!

তারপর একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে বললো,

মেঝ শালিকা এই বইটা তোমার আপাকে দিও।

আমি বোকার মতো বই নিয়ে এসে আপাকে  বললাম,তুই আনান ভাইকে ভালোবাসিস আপা?


আপা আমার মাথায় চাটি মেরে বললো,এতো ঝগড়াটে তুই?উনার সঙ্গে গিয়ে এভাবে ঝগড়া করলি?

:তো করবোনা?তোমার জানলার দিকে এমন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকবে কেনো?

:বড় হলে বুঝবি,দেখি প্যাকেটটা দে।

আপা আমার সামনেই প্যাকেট খুলে বই বের করলো,সাথে ছিল নীল রঙের চিরকুট আর এক পাতা টিপ!


তারপর থেকে আনান ভাই আমার মাধ্যমে আপার জন্য নানারকম জিনিস পাঠাতেন।বর্ষার প্রথম কদমফুল,কখনো বা আপার প্রিয় তেঁতুল আচার,রজনীগন্ধার স্টিক,বেলী ফুলের মমি আরো কতো কি!!


আপাও এটাসেটা রেঁধে বক্সে করে দিতো।কখনো বা বইয়ের ভাঁজে চিঠি।আর আমি হয়ে গেলাম তাঁদের পার্মানেন্ট ডাকপিয়ন!

একবার আপার খুব অসুখ হলো!জ্বরে তিনদিন শোয়া থেকে উঠতে পারেননা।এই তিনদিন আনান ভাই আগের মতোই সন্ধ্যায় জানলার সামনে অপেক্ষা করেছেন।অসুখ শুনে দুবেলা নিয়ম করে এসেছেন আপাকে এক পলক দেখতে।


চারদিনের দিন আপা কিছুটা সুস্থ হতেই আমি যখন আনান ভাইয়ের কথা বললাম সে আমাকে ধরে জানলার ধারে গিয়ে দাঁড়ালো।আনান ভাইকে দেখে আনন্দে কিংবা আবেগে চোখভর্তি পানি নিয়ে পর্দার আড়ালে সরে এসে বললো,তানু মানুষটা এই ভরদুপুরে নিশ্চয়ই অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে।তুই গিয়ে এক গ্লাস শরবত দিয়ে আয় না বোন?দু চামচ চিনি আর এক চিমটি লবণ দিয়ে বানাবি।


আমি শরবত নিয়ে যেতেই আনান ভাই মুচকি হেসে জানলার দিকে চেয়েই অর্ধেকটা শরবত খেলো।

আমি কিঞ্চিত রেগে বললাম,এতো কষ্ট করে বানিয়েছি মজা হয়নি?অর্ধেক খেলেন যে?

আনান ভাই মাথা চুলকে বললো,বাকিটা পিহুর জন্য।


আমার ছোট্ট মাথায় তখন এটা আসেনি আরেকজনের অর্ধেক খাওয়া শরবত আপা কেনো খাবে?

আপা আর আনান ভাই একে অপরকে কতটা ভালোবাসতো তা হয়তো তখন অতো গভীরভাবে বুঝিনি।তবে আমার মনে হতো এই পৃথিবীতে আনান ভাইয়ের মতো করে কোনো ছেলে আপাকে ভালোবাসতে পারবেনা।


দুজনের বাসায় টেলিফোন থাকা স্বত্বেও তাঁরা কখনোই টেলিফোনে কথা বলেনি।বেশিরভাগ চোখের ইশারায় কথা বলতো কখনো বা চিরকুটে!দুটো মানুষ শুধু এক পলক চোখের দেখা দেখার জন্য এতোকিছু করতে পারে তা আমার ধারণা ছিল না।আনান ভাইয়ের চাকরি হবার পরও সে রাতে আসতে কখনোই ভুলতোনা।সারাটাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম শেষে এখানে এসে দাঁড়িয়ে থাকতো বলে আপা খুব রাগ করলো,রাতে জানলা আটকে রেখেছিল তিনদিন।এই তিনদিন জানলার দুপাশে দুজন কত ছটফট করেছে তাঁর সাক্ষী কেবল আমিই ছিলাম!


অভিমানের দেয়াল ভেঙে রাত বারোটায় আপা যখন জানলা খুলে আনান ভাইকে দেখেছিল সারাটা রাত ফ্লোরে বসে কেঁদেছে।আমি তাঁর পাশে বসতেই বলল,তানু এই মানুষটাকে আচ্ছামতো বকে দিতে পারবি?ছেলেমানুষ এতো পাগল হলে চলে?

এমন রাতবিরেতে বাইরে দাঁড়িয়ে মশার কামড় খাওয়ার মানে কি!


সেদিন আপার অভিযোগগুলো শুনতেও অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছিল।আপা মুখে যাই বলুক না কেন আনন্দ তাঁর চোখমুখ ঠিকরে পড়ছিল।হয়তো ভালোবাসার তীব্র বহিঃপ্রকাশে আপার মন সিক্ত হয়ে গিয়েছিল।

আপার জন্মদিনে আমি আর আপা নদীর পাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম।আনান ভাই ও সেখানে ছিল।পুরোটা সময় তাঁরা অন্যদিকে ফিরে ছিল।কেউ একটা কথাও বলেনি।আমি বিরক্ত হয়ে বললাম,আমার জন্য কথা বলতে পারছোনা?এখন আমি কাবাবে হাড্ডি হয়ে গেছি?

আপা হেসে বললো,আমাদের কথা হচ্ছে তো।তুই শুনিস নি আর কি।

আমি অবিশ্বাসের গলায় বললাম,এমন হয় নাকি?


পরীক্ষা করতে আনান ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম,বলেন তো ভাইয়া আমরা মা কে কি বলে এসেছি?

:মাইশার বাসায় যাবে বলে।

:আপার এই শাড়িটা কার বলুন তো?

:তোমাদের ছোটচাচীর।

:ছোটচাচী তো এখানে থাকেনা উনার হবে কেন?

:তোমার ছোটচাচীর এই শাড়িটা ওর পছন্দ হয়েছিল,তাই উনি আজ সকালে সেটা পাঠিয়েছেন!

:বাপরে সব জানেন দেখি!!কে বলেছে এসব?

:তোমার আপা বলেছে।

:হুর এমন হয় নাকি? আমিতো কিছুই শুনলাম না... 


তাঁরা দুজনেই হাসতে লাগলো।


বড় খালা আর নানু বাড়িতে আসতেই আমরা তিনবোন মহাখুশী।যখন শুনলাম উনারা ছোট মামার বিয়ের জন্য মেয়ে ঠিক করে এসেছেন আনন্দ আর রাখি কই?বাবার সঙ্গে কথা বলে বিয়ের ব্যবস্থা আমাদের বাড়িতে হবে বলেই ঠিক হলো।যেহেতু নানুরা গ্রামে থাকেন আর মেয়ে আমাদের পাশের এলাকার তাই সবার সুবিধার কথা ভেবে এখানেই সব করবার সিদ্ধান্ত হলো।


ছোট মামার বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে হৈচৈ পড়ে গেল।মামা খালারা সবাই একে একে আসতে শুরু করেছে আমার চাচা ফুফুরাও এসেছেন।পুরো বাড়িতে উৎসবের আমেজ।হলুদের দিন আমরা সবাই মামাকে হলুদ দিয়ে নতুন মামীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।আমি দোলা আর আমার সমবয়সী নিতু,দিপা সেজেগুজে একদম নায়িকা হয়ে গেলাম।বড় কোনো আপু আমাদের সাথে গেল না।


ওখানে গিয়ে আনান ভাইকে দেখে আমি কিছুটা চমকালেও পরে ভাবলাম উনাদের এলাকা উনি থাকতেই পারেন।যখন শুনলাম উনি ছোটমামীর বড় ভাই আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো!ছোটমামীর বড় ভাই মানে সম্পর্কে উনি আমাদের মামা হয়ে যাবেন!তখন আপার সাথে উনার কিভাবে বিয়ে হবে?


ওদিকে আমাকে দেখার পর থেকেই আনান ভাইয়ের চেহারা বদলে গেছে।উনি আমাকে বললেন,তানহা মামুন ভাই তোমার আপন ছোট মামা?

:হ্যাঁ!

:তুমি আমাকে আগে বলোনি কেন তোমার মামার আমাদের পাড়ায় বিয়ে?

:আমরা জেনেছি ক'দিন আগে।তাছাড়া ছোটদের কেউ কিছু বলে নাকি?

আনান ভাই চোখ লাল করে চলে গেলেন।


তাঁর অবস্থা আমি বেশ বুঝতে পারছি কিন্তু আপা জানলে কি হবে?তাঁকে আমি কিভাবে বলবো!


বাড়ি ফিরে দরজা লক করে আপাকে সবটা বললাম।আনান ভাই তাঁর ছোটবোনের বিয়ে কখনোই ভাঙতে চাইবেনা আর না ছোট মামার বিয়ে আটকানো যাবে!শেষ মুহুর্তে এসে আসলেই কিছু করার রইলোনা।


আপা বাথরুমে ঢুকে কল ছেড়ে দিয়ে কাঁদতে লাগলো।আমি বোবার মতো সব দেখছি কিছুই করার নেই আমার।


পরদিন সবাই বরযাত্রীতে গেলেও আপা গেল না।শরীর খারাপের বাহানা দিয়ে ঘরে রয়ে গেল।আপার চোখমুখ ফুলে লাল হয়ে থাকায় কেউ অবিশ্বাস করলোনা।আনান ভাই শক্ত হাতে  বিয়ের সবটা সামলালেন।


একমাত্র ছোট বোনের বিয়েতে কোনো ঘাটতি রাখলেন না।যখন ছোট মামীকে নিয়ে আমরা চলে আসবো তখন আনান ভাই আমার হাতে একটা খাম ধরিয়ে দিয়ে বললো,পিহুকে দিও।ওকে সামলে রেখো তানহা,উল্টাপাল্টা কিছু করে যেনো না বসে!



সেই চিঠিতে কি ছিল আমি জানিনা!তবে এইটুকু বুঝেছি আমার আপার বিচ্ছেদ ঘটতে চলেছে।আমি বোকার মতো সারা রাস্তা কেঁদে ভাসালাম।আপার আর ভাইয়ের সব স্মৃতি আমার চোখের সামনে ভাসতে লাগলো।


আল্লাহকে বারবার বলতে লাগলাম "কোনো একটা মিরাকেল ঘটিয়ে ওদের মিল করে দাও না!আমার আপা যে মরেই যাবে আনান ভাইকে ছাড়া!"


জীবনটা উপন্যাসের পাতা হলে বোধহয় ভালো হতো।ইচ্ছে হলেই কেটে আবার নতুন করে সাজানো যেতো কিংবা দু চার পৃষ্ঠা ছিড়ে ফেলে দিতাম ভুলেও সেগুলো পড়তাম না!ঠিক যেভাবে আর দ্বিতীয়বার পড়িনি "মেমসাহেব" এর ২৪৬নং পৃষ্ঠাটা!

 

সেদিনের পর আনান ভাই আর আমাদের জানলার সামনে আসেনি।চিঠি পাওয়ার পর আপাও আর আনান ভাইয়ের কথা উচ্চারণ করেনি।রাস্তায় দেখা হলে আনান ভাই মিষ্টি হাসি দেওয়া ছাড়া আর কিছুই বলতো না।


তারপর একদিন খবর এলো আনান ভাইয়ের বাইক এক্সিডেন্ট হয়েছে।অবস্থা খুব ক্রিটিক্যাল!আমরা সবাই ছুটে হাসপাতালে গেলাম বড় আপা গেল না।সে মায়ের আলমারি খুলে নীল শাড়িটা বের করলো।আমি কাঁদতে কাদতে বললাম,আপা তুই হাসপাতালে না গিয়ে শাড়ি বের করছিস কেন?আনান ভাইয়ের ...

আপা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।সেই হাসির অর্থ আমি বুঝিনি।আমি কাঁদতে কাঁদতে ছোট মামীকে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম।


বাইরে ঝিরঝিরে বৃষ্টি শহরের প্রতিটি অলিগলি যেন জানান দিচ্ছে আজ খুব প্রিয় কেউ হারাতে চলেছে!হাসপাতালের করিডোর পার হতেই কান্নার শব্দে কান ভারী হয়ে গেল।ছোটমামীকে তাঁর মা জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলতে লাগলো,আমার আনান আমারে ছাইড়া চইলা গেছে দিলু!আল্লাহ আমার সাতরাজার ধনরে কাইড়া নিছে.....!


আমি আনান ভাইয়ের চেহারা দেখে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলাম।তারপর হঠাৎ কিছু একটা মনে পড়তেই আমি দৌড়ে বেরিয়ে এলাম।বাইরে তখন ঝুম বৃষ্টি!আমাকে দৌড়াতে দেখে বাবা আমায় বারবার করে ডাকলো আমি সেসব এড়িয়ে ছুটে চলছি প্রাণপণে।


বড় মামাকে চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বললাম,মামা তাড়াতাড়ি বাসায় এসো অনেক বড় অঘটন ঘটতে চলেছে!!


আপাকে রুমে না পেয়ে আমি দৌড়ে ছাদে গেছি, গিয়ে দেখি আমার আপা আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয় বড় আপা এই ঝুম বৃষ্টিতে ছাদে শুয়ে আছে।পড়নে তাঁর নীল শাড়ি!হাতভর্তি আনান ভাইয়ের দেওয়া সাতরঙা কাঁচের চুড়ি,কপালে কালো টিপ,ঠোঁটে লাল লিপস্টিক!


একদম আনান ভাইয়ের পছন্দমতো করে সেজে আমার আপা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে!

সেই বাঁধভাঙা ঝুম বর্ষায় আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর ভালোবাসা পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়েছে!


এখনো আমার মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় এই বুঝি আপা ফ্লোরে বসে কেঁদে বলছে,মানুষটা আমায় এতো কেন ভালোবাসে তানু?

অথবা আনান ভাই বলছে,মেঝ শালিকা বলেছিলাম পিহুকে সামলে রাখতে,পারলে না তো!


আমি তাঁদের সব চিঠি,উপহার কর্ণফুলীতে ভাসিয়ে দিয়েছি!আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রতি রাতে প্রশ্ন করি,

"আমার মনের মাঝে এতো বড় বোঝা চাপিয়ে দিয়ে তোমরা কেন চলে গেলে আপা!তোমরা নিশ্চয়ই ওখানে একসঙ্গে আছো?মাঝখানে আমার ভেতরটা জ্বলেপুড়ে ছাই হচ্ছে!!"

একটি অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প : আবেগী ভালোবাসার গল্প

আচ্ছা কেউ কি জানবে তাঁদের এই ভালোবাসার গল্প?


-কলমে

আরশিয়া

আরও পড়ুন


Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.